ষ্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ বিভাগের সিমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। অপরদিকে আকাশের মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এসব দেখবে কে? একটু ঝড়ো-হওয়ার সাথে সাথেই বিদ্যুৎ চলে যায়। কখন ফিরে আসবে এর নিশ্চয়তা দিতে পারে না সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিস।
শুধু মেঘ দেখলেই নয়, সারাদিন রাত ইচ্ছামত সময়ে অসময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া এখন বিদ্যুৎ অফিসের নিয়মে পরিণত হয়েছে। এছাড়া বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের হয়রানী তো লেগেই আছে। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। এরপরও আবার লোডশেডিং।
হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ যায় না আসে জানে না সাধারন। বিদ্যুৎ যাওয়াটা তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। দিনে অন্ত:ত ৩০/৩৫ বার বিদ্যুৎ যায় আসে। এতে দিন দিন ফুঁসে উঠছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন জেলার প্রায় কয়েক লাখ মানুষ। রাতের বেলা একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা রাতের বেলা ঠিক মতো লেখাপড়া করতে পারছে না।
জেলা সদর, চুনারুঘাট উপজেলা সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা।
সন্ধ্যার পর পরই জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে টেলিভিশন, ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক বাল্পসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে রাতে চার্জ দিতে না পারায় উপজেলার অসংখ্য ইজিবাইক চালকরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
শুধু তাই নয় পল্লী বিদ্যুৎতের ঘন ঘন লুকোচুরি খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জন জীবন। দিন-রাত যে কতবার বিদ্যুৎ আসে আর যায় তা হিসেব পাওয়া যায় না। এই আছে, এই নেই। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলাকে স্থানীয়রা বলছেন মিসকল। একদিনের নয়, নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই জন ভোগান্তি। পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সীমাহীন লোড শেডিংয়ের কারণে ব্যসায়ীদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তারা। ফলে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
বিদ্যুতের যে অসহনীয় লোডশেডিং শুরু হয়েছে এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। বিদুৎতের মিসকল ও ভেলকিবাজি থেকে মুক্তি চায় সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বিদ্যুৎতের নানান অজুহাত। বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।